Best Chinese drama ever made!
২০১৬ সাল থেকে ড্রামা দেখা শুরু করলেও ২০২০ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত আমার দেখা চাইনিজ ড্রামার সংখ্যা ছিল নিতান্তই হাতেগোনা। প্রায় ২২০+ কোরিয়ান ড্রামার বিপরীতে চাইনিজ ড্রামার সংখ্যা ছিল মাত্র আড়াইটা!! My Amazing Boyfriend, Love O2O আর Master Devil Do Not Kiss Me ছাড়া ২০২০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত আর কিছুই ধরা হয়নি। এর মাঝে আবার মাস্টার ডেভিল প্রথম সিজনের অর্ধেক দেখার আগেই ড্রপ দিয়েছিলাম ভালো লাগতেছিল না দেখে।চাইনিজ দেখতাম না তার প্রধান কারণ ছিল ভাষাটা সহ্য হতো না, কানে লাগতো খুব। আর দ্বিতীয় কারণ ছিল ওদের কাঠখোট্টা রোমান্স। রোমান্টিক সিন গুলো দেখলে মনে হতো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে অভিনয় করতেছে!!
এরপর এই বছরের মাঝামাঝিতে একদিন ইউটিউবে ছোট্ট একটা ক্লিপস দেখে বাঘ আর হনুলুলুর প্রেম ড্রামা টা দেখতে বসি। তারপর বাকিটা ইতিহাস!! আমার চাইনিজ ড্রামা ভালোবাসার কারণ, গত কয়েক মাসে প্রায় ৪৫+ চাইনিজ ড্রামা শেষ করার কারণ, কাঠখোট্টা চায়না ভাষা কেও সুমধুর লাগার কারণ, জোর করে করা রোমান্টিক সিন গুলো কেও অসম্ভব মিষ্টি লাগার কারণ, আর কিছুই না.... এই লাল ড্রেস পরা নাদুসনুদুস মেয়েটাই সব অসম্ভবকে সম্ভব করার মূল কারণ!!
Was this review helpful to you?
Not my idle type drama. But it's okay!!
প্রথমেই বলে রাখি, ড্রামাটা আহামরি টাইপের কিছু না। আর বাকি আট/দশটা রমকমের মতই সাধারণ। কাহিনীও ইউনিক কিছু না। সাত/আটটা ড্রামারে একসাথে একপাত্রে রেখে ঘুটা দিলে যেটা হয় সেইরকম একটা জগা-খিচুড়ি মার্কা প্লট। না দেখলেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে দেখতে পারেন। দেখতে বসলে ভালো লাগবে। শুরু করার পর শেষ না করে উঠা কষ্ট হয়ে যাবে! 😉😉প্লট নিয়ে হালকা পাতলা একটু ধারণা দেয়া যাক! নায়ক একজন গায়ক, আইডল আরকি। তার অনেক ফ্যান-ফলোয়ার, মোটামুটি বেশ বিখ্যাতই বলা যায়। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে সে সিদ্ধান্ত নেয়, সে আর গায়ক থাকবে না। ক্যারিয়ার সুইচ করে এবার নায়ক হবে! মানে সঙ্গীতের পাশাপাশি অভিনয়ও করবে! আমাদের EXO/BTS-এর মেম্বারদের মত আরকি! 😬😬
আর নায়িকা একজন পাতি অভিনেতা। পাতি নেতাদের মত পাতি অভিনেতার কাজ হচ্ছে- একটা ড্রামা বা মুভিতে মেইন লীডরা ছাড়াও আরো ছোটখাটো অনেক রোল থাকে না? সেই রকম ডায়লগ বিহীন কিছু ক্যারেক্টারে অভিনয় করে আরকি! 🤐🤐
যেহেতু চাইনিজ ড্রামা, কিছু অদ্ভুত রোগের আনাগোনা না থাকলে কি হয়, বলুন? নায়ক 'নায়ক' হতে চায় কিন্তু তার সিম্পটম্প হচ্ছে কেউ তারে টাচ করতে পারে না। কারো টাচ লাগলেই তার নিশ্বাস-টিশ্বাস বন্ধ হয়ে মরে যাবার মতো অবস্থা হয়! এ কেমন নায়করে বাবা? 🙄🙄
নায়িকা আবার আরেক কাঠি সরেস! সে একজন অভিনেত্রী, কিন্তু তার সিম্পটম্প হচ্ছে সে ক্যামেরার দিকে তাকাইলে কথা বলতে পারেনা। মাথা-টাথা ঘোরায়, বেহুঁশ হয়ে যায়! এজন্য সে সবসময় ছোটখাটো ডায়লগ বিহীন ক্যারেক্টারে অভিনয় করে। কথা হচ্ছে, ক্যামেরার দিকে তাকাইতে পারেনা, কিন্তু হতে চায় নায়িকা, এ কেমন নায়িকারে বাবা? 🙄🙄
আচ্ছা যাই হোক, কথা হচ্ছে- জবা কি পারবে নায়ক/নায়িকাকে কাছাকাছি আনতে, দুজনকে দুজনের প্রেমে ফেলতে, তাদের অদ্ভুত রোগগুলো ভালো করতে? ওহ, থুক্কো, জবা তো মারা গেছে! প্রশ্ন রেখে গেলাম তিতলীর কাছে, মাননীয় স্পিকার!!! 🥶🥶🥶
ছোট-বেলায় নায়ক-নায়িকার মাঝে একটা ইন্টারেকশান না দেখালে এখনকার ড্রামা জমে না! এখানেও সেরকম কিছু দেখতে পাবেন যেটা নায়ক-নায়িকা ড্রামার শেষে এসে জানতে পারবে। মেইন লিডরা ছাড়াও আরো কিছু সাইড কাপল আছে। তারাও যথেষ্ট কিউট। সবচেয়ে বড় কথা এই ড্রামায় আসলে কোনো ভিলেন নেই। যারে পুরো ড্রামা জুড়ে ভিলেন মনে হবে, শেষে গিয়ে তার জন্যেও খারাপ লাগবে। কিস-টিসও খুব বেশি নেই! নায়ক যা-ও একটু দিতে টিতে চায়, নায়িকা 'মানুষজনে দেখতেছে' বলে এড়ায়ে যায়। বলতে পারেন পুরো সামাজিক একটা ড্রামা আরকি!!! 😄😄
এতক্ষণ বলতেছিলাম, চাইনিজ ড্রামা Sm:)e এর কথা। পড়তে কষ্ট হলে বলে দেই, উচ্চারণটা হবে Smile! হাতে সময় থাকলে দেখতে পারেন, খারাপ না। আমার ভালোই লেগেছে... 😇😇
Was this review helpful to you?
A good storyline with a worse ending ever!
ড্রামাটা সুন্দর। কাহিনী ভালই। কিন্তু ফিনিশিং লেখার সময় সি-ড্রামা রাইটারটা গাঞ্জা খাইয়া কেন ফিনিশিং লেখে, এই জিনিস আজও বুঝতে পারলাম না 😑Lin Miao এর বসবাস ২০২০ সালে। একটা কোম্পানীর পরিশ্রমী কর্মী সে।তার প্রমোশনের দিন প্রমোশনের ঠিক আগ মূহুর্তে সে টাইম ট্রাভল করে ২০১০-এ ফেরত আসে। তারে একটা মিশন দেয়া হয়, তারে Jiao Yang রে তার বাপের কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট হইতে সাহায্য করতে হবে। তিন মাস টাইম, যদি Jiao প্রেসিডেন্ট হইতে পারে তাইলে সে তার টাইমে ফেরত যাইতে পারবে, নতুবা ২০১০ থেকে ভ্যানিস হয়ে যাবে! তো নিজ টাইমে ফেরত যেতে Jiao নামের অকাল কুষ্মান্ডরে প্রেসিডেন্ট বানানোর কাজে লেগে পড়ে সে। তারপর যা হবার তাই হয় আরকি, দুজনের প্রেম হয়ে যায়!
যেটা আশা করছিলাম, রাইটার/ডিরেক্টররা লিন মিয়াওয়ের এই টাইম ট্রাভেলের ভালো একটা ব্যাখ্যা দিতে পারত। কেন তারেই ২০১০ এ পাঠানো হলো, কেন জিয়াওরে প্রেসিডেন্ট তারে বানাইতেই হবে, আর না বানাইলে কেন তারে ভ্যানিশ হয়ে যেতে হবে- এসবের একটা কারণ দেখাবে। কিন্তু শেষ অব্দি কিছুই দেখায় নাই।
যেটা আশা করছিলাম, ফিনিশিং এ লিন মিয়াও যেদিন থেকে টাইম ট্রাভল করছে, ফেরত আসার পর সেদিনই ফিরে আসবে। তারপর জিয়াও রে মনে রাখবে কি রাখবে না সেটার আলাদা কাহিনী হতে পারে। কিন্তু যেটা দেখাইছে, আসলে কি দেখাইছে আমি নিজেও বুঝি নাই। আসলে সে কতদিন পর ফেরত আসছে, সে একটা কোম্পানীর ডিরেক্টর ছিলো আগে, সে দেশ-বিখ্যাত রাইটার হলো কিভাবে- কোনো ব্যাখ্যা নাই।
২০১০-এ অরিজিনাল যে লিন মিয়াও ছিলো, সে অনেক ধাক্কা-টাক্কা খাইয়া অনেক পরিশ্রম কইরা ২০২০ এ একটা কোম্পানীর ডিরেক্টর হইছিলো। সে সব সময় সিঙ্গেল ছিলো এবং পুরা টাইম সে গাধার খাটনি খেটে নিজেরে প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু টাইম ট্রাভলের পরে লিন ২০২০-এ ফেরত যাবার সময় অরিজিনাল ২০১০-এর লিনের আবার তার বসের সাথে একটা রোমান্স দেখাইছে! তো এখন লিন ২০২০-এ ফের যাবার পর সেখানকার কি হবে- এরও কোন ব্যাখ্যা নাই!!!
মাথায় কিছু ঢুকে নাই, না? আসলে আমার মাথায়ও কিছু ঢুকে নাই। যা মনে হইছে- এই থিম নিয়া অনেক ভালো কিছু হইতে পারতো, কিন্তু হইছে একেবারে রাবিশ কিছু!!!
Was this review helpful to you?
A cute romantic comedy with unique storyline.
Mydramalist এর সামারি থেকে জানা যায়, ড্রামার নায়িকা একজন টিনেজ-রোমান্টিক-ফ্যান্টাসি নভেল এডিটর। একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখে সে তার লেটেস্ট উপন্যাসটার কাহিনীর ভেতর ঢুকে গেছে! তার চেয়েও মারাত্মক ব্যাপার হচ্ছে- এখানে সে মেইন লীড না বরং মেইন লীডের সাথে সর্বদা ঝামেলা বাঁধানো ভিলেন!! এখন সে কি করবে!?এতটুকু পড়েই যদি ভেবে নেন- আরেহ! এটা তো হুবাহু বাঘ আর হুনুলুলুর প্রেম (The Romance of Tiger and Rose)-এর হুবাহু কপি, দাঁড়ান!!! দুটো ড্রামাই আমার দেখা এবং দুটো ড্রামার দেখার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, তাইওয়ানিজ Lost Romance এর কাহিনী এতটাও সিম্পল না।
এর খানিকটা মিল অবশ্যই পাওয়া যাবে The Romance of Tiger and Rose এর সাথে, খানিকটা মিল পাওয়া যাবে ২০১৯ এর হিট কোরিয়ান স্কুল ড্রামা Extraordinary You এর সাথে আবার খানিকটা মিল পাওয়া যাবে ২০১৬ সালের হিট কোরিয়ান ড্রামা W - Two Worlds এর সাথেও। মাঝে কয়েক সেকেন্ডের জন্য Goblin আর DOTS এর ফিলিংসও পাবেন! সব মিলিয়ে মিশ্র একটা অনুভূতি আরকি!
গতানুগতিক অফিস রম-কম ড্রামার সাথে খানিকটা ফ্যান্টাসি মেশানো হয়েছে। লুতুপুতু রম-কমগুলোকে একটু ব্যাঙ্গও করা হয়নি কি? যদিও শেষ পর্যন্ত তারাও একই পথে হেঁটেছে!!
ড্রামাটা ভালোই। স্টোরি লাইন লিনিয়ার, খুব একটা প্যাঁচালো না। পর্যাপ্ত পরিমান কমেডি এবং রোমান্স আছে। রোমান্স মনে হয় একটু বেশিই আছে! বোল্ড সব রোমান্টিক সিন! কোরিয়ান আর চাইনিজ রম-কম গুলোতে সাধারণত এতটা বোল্ড সিন দেখা যায় না! মানে তারা তো কনফেস করার পর থেকে হাত ধরতেই কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে দেয়! আর এখানে কনফেস পর্ব শেষ হবার আগেই সোজা বেডে!! মানে, কিএক্টা অবস্থা!!! ☺️☺️☺️
Mydramalist -এ ড্রামাটার এভারেজ রেটিং ৮.৪। আমি পার্সোনালি ৮.৫ দিবো। কাহিনী অরিজিনাল না মিক্সড সেটা নিয়ে আমি ভাববো কেন!? আমি দেখে মজা পেয়েছি- এটাই আসল কথা! যারা Feels Good টাইপের ড্রামা খুঁজতেছেন, তাদের জন্য সাজেশান থাকলো।
Was this review helpful to you?
Typical Office Rom-Com with Childhood Story!
গল্পে কিংবা গল্প বলার ঢঙে কোন নতুনত্ব নাই। সেম ওল্ড, সেম ওল্ড! মেইন লিড কাপলের যথেষ্ট রোমান্স ছিলো, সেকেন্ড লিড কাপলের যথেষ্ট ছ্যাচড়ামি ছিলো। ভিলেন ছিল, সেকেন্ড লিড ছিল, সেকেন্ড লিডেরও একটা সেকেন্ড লিড ছিলো আবার! এইতো, টিপিক্যাল স্টোরি! 🥱🥱ব্যক্তিগতভাবে আমার যেটা মনে হয়েছে- লাস্টের ০৬ এপিসোড হুদাই বাড়ানো হয়েছে। কাহিনী যা দেখানোর সব ৩০ এপিতেই শেষ। ব্যাপারটা এমন হইতে পারে- রাইটার ড্রামাটা ৩০ এপিসোডের জন্যই লিখছিলো মূলত। ডিরেক্টর শ্যুটিং করতে গিয়া দেখলো যে ড্রামার জন্য যে বাজেট ছিলো তার বেশকিছু বাকি থেকে গেছে, খরচ করা যায় নাই। এদিকে প্রডিউসারও বলছে- না, যেমন হবেই হোক, এটা খরচ করাই লাগবে! এজন্য প্রডিউসার আর ডিরেক্টর মিইলা রাইটাররে ঘুষ্টুষ দিয়া বুগিচুগি করে লাস্ট ৬ এপিসোডের কাহিনী লিখাইছে!! 😒😒
আবার এমনটাও হইতে পারে- ৩০ এপিসোড শেষ হবার পর ডিরেক্টর দেখলো যে, সেকেন্ড লিডরে খুব ভালো ভাবে দেখানো হইছে! এটা অডিয়েন্সদের মাঝে সেকেন্ড লিড সিন্ড্রোম ক্রিয়েট করতে পারে! এটা কোন কারণে প্রডিউসারের পছন্দ হয় নাই। এজন্য ইচ্ছা করে সে সেকেন্ড লিডের ভেতরে কিছু ভিলেনগিরি ঢুকাইছে যাতে ড্রামা শেষে তারে আর কারো ভালো না লাগে! এজন্য লাস্টের ৬ এপিসোড পরে এক্সট্রা ভাবে যোগ করছে!! এছাড়া শেষ ৬ এপিসোডের কোনো ব্যাখ্যা আমি আর আসলে পাই না!!! 🥴🥴
যারা অলরেডি দেখে ফেলেছেন, তাদের বলার কিছু নেই। আর যারা এখনো দেখেন নি, কিন্তু দেখবেন বলে লিস্টে রেখেছেন, তাদের জন্য পরামর্শ- ৩০ এপিসোডেই শেষ করে দিতে পারেন ড্রামাতে। শেষ ৬ এপিতে কিছু নেই, সেটা না দেখলেও কোন ক্ষতি নেই! এই ৬ এপির পেছনে সোয়া ৩ ঘন্টা সময় নষ্ট না করে নতুন কোন ড্রামার ৬টা এপিসোড দেখেন, সেটাই বরং ভালো হবে! 😇😇
পরামর্শ ধরলে ভালো, না ধরলে ৩ ঘন্টা সময় নষ্ট হবার জন্য পরে আফসোস করবেন- এই আরকি! কি আর এমন ক্ষতি হবে এতে!!! 😬😬
Was this review helpful to you?
This review may contain spoilers
It became my second favorite school drama. First one is Forever Love!
২৮ বছর বয়সী সফল ক্যারিয়ারিস্ট Nan Xiang Wan একদিন হঠাৎ করে নিজেকে ১০ বছর আগের হাই স্কুল ছাত্রী হিসাবে নিজেকে আবিষ্কার করে। আগের বার এডমিশান টেস্টে খারাপ করায় সে ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারেনি। যার কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে। এজন্য এবার আর সে কোনো ভুল করতে চায় না। তার এখন একটাই লক্ষ্য- ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া। কোনো কিছুই তাকে তার এই অভিষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। এজন্য সে যে কোন কিছু করতে পারে, দরকার হলে যে কাউকে সেক্রিফাইস করতে পারে! কিন্তু এত কিছুর পরেও কি সে পারবে তার দূভার্গ্যকে বদলাতে? ভাগ্যের লেখন আসলেই কি খন্ডানো যায়?ওয়েল, আপনারা যারা চাইনিজ ড্রামা নিয়ে আমার আগের কোনো লেখা পড়েছেন, তারা অনেকেই হয়তো জানেন Forever Love ড্রামাটা নিয়ে আমার ভেতরে এক ধরনের ক্রেজিনেস কাজ করে। যদি ফরেভার লাভের পর আর কোনো ড্রামা নিয়ে উন্মাদনা দেখাতে হয় তাহলে আমি বেছে নিবো- Don’t Disturb My Study। এই ড্রামা নিয়ে ছোট কথায় রিভিউ লিখতে হলে আমি এইভাবে লিখবো- পড়ালেখা নিয়ে প্রচন্ড সিরিয়াস কিন্তু একটু গাধী-টাইপের এক মেয়ে এক ঝাঁক ডোন্ট-কেয়ার টাইপ ছেলে-মেয়ের মাঝে এসে পড়ে। এরমাঝে দোন্ট-কেয়ার টাইপ ছেলে-মেয়েদের লিডারের সাথে তার ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঝামেলা হয়, পরে সে ঝামেলা মিটে তারা বন্ধুও হয়ে যায় এবং একটা সময় পর গিয়ে এক অন্যের প্রেমেও পড়ে। তো কি ভাবছেন এখন? প্রেমে পড়ে পড়ালেখায় সিরিয়াস মেয়েটি পড়ালেখা লাটে উঠালো? মোটেও তা না! বরং সে পুরো ক্লাসকেই লাইনে নিয়ে আসলো! সবাইকে পড়াশোনা-ক্যারিয়ারের প্রতি সিরিয়াস করে তুললো! কিন্তু তার ভাগ্যের কি কোনো পরিবর্তন হলো? যেটা পাল্টাতে সে অতীতে এসেছিলো?
#Spoiler_Alert
যারা ড্রামাটি দেখেন নি তারা নিচের লেখাটুকূ পড়বেন না। এখানে স্প্যলার আছে। ড্রামা না দেখা থাকলে এটা পড়তে গেলে পরে পুরো ড্রামা দেখার মজা হারাবেন! তাই সাবধান!!!
এই ড্রামার সাজেশান আমি যার রিভিউ পড়ে পেয়েছিলাম, তিনি সেখানে বলেছিলেন এন্ডিং নিয়ে একটু হতাশ তিনি। নায়িকা কেন বর্তমান থেকে অতীতে গেলে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। আসলে এই লাইনটি নিয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই।
নায়িকা টাইম ট্রাভেল করেনি। যারা ভেবেছেন নায়িকা আসলেই বর্তমান থেকে অতীতে ফেরত গেছে, তারা এইখানে একটু ধরা খেয়েছেন। নায়িকা মোটেও টাইম ট্রাভেল করেনি। এডমিশান টেস্টের আগের দিন নায়িকার বান্ধবী নায়িকাকে একটা প্রমিজ করেছিলো না যে, সে যদি কোনদিন লেখিকা হতে পারে তাহলে নায়িকার পুরো জীবনের উপর সে একটা উপন্যাস লিখবে? সে তার কথা রেখেছিলো। পুরো ড্রামায় ১০ বছর আগের স্কুল জীবনের যা যা দেখানো হয়েছে সবটাই বাস্তবের উপরে ভিত্তি করে লেখা উপন্যাসের কাহিনী।
প্রথম এপিসোডে মনে আছে, নায়িকার লেখিকা বান্ধবী এসে নায়িকাকে বলে যে, তোর উপরে বেইজড করে একটা উপন্যাস লিখেছি, পড়ে দেখ? যে উপন্যাসটা পড়তে পড়তে নায়িকা অতীতে টাইম ট্রাভেল করে? একচুয়েলি নায়িকা টাইম ট্রাভেল করে না। সে জাস্ট অনেক ক্লান্ত ছিলো, পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে। যেটা দেখানো হয়েছে যে সে উপন্যাস পড়তে পড়তে ১০ বছর আগে অতীতে ফেরত গেছে, সেটা পুরোটাই উপন্যাসের কাহিনী।
লাস্টের রিইউনিয়নের সময়ের কথাগুলো খেয়াল করলে দেখবেন, নায়িকা তার বান্ধবীকে জিজ্ঞাসা করেছিলো যে আমি অতীতে ফিরে গেছি মানে কি? এটা কি গাঁজাখুরি কাহিনী লিখেছিস? তখন তার বান্ধবী উত্তর দিয়েছিলো- আরে একটু ফ্যান্টাসি না মেশালে পাবলিক খাবে না! এটা তোর উপর বেইজড করে লেখা উপন্যাস সেটা ঠিক আছে, কিন্তু বইয়ের বিক্রি তো হতে হবে নাকি!!
সো, এটাই হচ্ছে মূল বিষয় আরকি। নায়িকা অতীতে ট্রাভেল করেনি। তার বান্ধবী তার লাইফটাকে ফ্যান্টাসি উপন্যাসের নায়িকার মত করে দেখিয়েছে নিজের উপন্যাসে। তাই তার অতীত ভ্রমণের কোনো ব্যাখ্যার দরকার নাই আসলে!!
বাই দ্য ওয়ে, ২৪ এপিসোডের পরেও একটা স্পেশাল এপিসড আছে এই ড্রামার! সেটা দেখেছেন তো সবাই, নাকি?
Was this review helpful to you?
Unique storyline. Twist was unexpected. Hard to guess!
নায়িকা একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। একদম সহজ বাংলায় পাগলের ডাক্তার। সে নিজে পাগলের ডাক্তার হলেও তার নিজেরই দুইটা মানসিক সমস্যা আছে। প্রথমথ, সে কোন ধারালো জিনিস সহ্য করতে পারে না। মানে সুঁই, কাঁচি, ছুরি- যেকোন ধারালো জিনিস দেখলেই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, সে পিচ্চিকাল থেকে একটা স্বপ্ন নিয়মিত দেখে। স্বপ্নে সাধারণ পরিবারের একটা মেয়ের সাথে এক রাজকুমারের সাথে প্রেম-কাহিনী দেখে। রাজকুমার ভালোবসে তাকে একটা পীচ-ব্লসম হেয়ার পিন উপহার দেয়। কিন্তু ভাগ্য তাদের শেষ পর্যন্ত সহায় হয় না। রাজকুমারকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়েটা মারা যায়। তার লাশ কোলে নিয়ে রাজকুমার প্রতিজ্ঞা করে- I'll come and find you in our next life! স্বপ্ন এইখানেই শেষ। স্বপ্নে মেয়েটার জায়গায় সে নিজেকে দেখতে পায় কিন্তু রাজকুমারের চেহারাটা কখনো স্পষ্ট দেখতে পায় না। ঝাপসা ঝাপসা দেখে সব সময়!নায়ক বিখ্যাত অর্নামেন্টস ডিজাইনার এবং দেশের সবচেয়ে বড় গহনা তৈরির কোম্পানির সিইও। বড় সিইওদের ক্ষেত্রে যেমন হয়, শত্রুর অভাব নাই। শত্রুদের চক্রান্তে একদিন নায়কের কার এক্সিডেন্ট করে। এতে নায়ক প্রাণে বেঁচে গেলেও মেন্টাল ইনসেনিটি হারিয়ে ফেলে। এখন সে নিজেকে প্রাচীন এক রাজকুমার ভাবে! তার মেন্টাল পিস বজায় রাখতে কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিশাল একটা হিস্টোরিক্যাল সিনেমার সেট ভাড়া করা হয়। সেখানেই সে থাকে। তার চিকিৎসার জন্য দেশের নামকরা সব সাইকিয়াট্রিস্টকে আনা হয়, কেউই তেমন সুবিধা করতে পারে না। অবশেষে তার চিকিৎসার ভার এসে পড়ে আমাদের মেন্টালি অসুস্থ মেন্টাল ডাক্তার নায়িকার উপর!
তার চিকিৎসা করতে আসার প্রথম দিন নায়িকা প্রথম বারের মত তার স্বপ্নে রাজকুমারের চেহারাটা স্পষ্ট দেখতে পায়। এই রাজকুমার আর কেউই নয়- তার কারেন্ট প্যাশেন্ট, আমাদের নায়ক! তবে কি রাজকুমার তার দেয়া প্রমিজ রেখেছে? আবার জন্ম নিয়ে ফেরত এসেছে নিজের অধরা ভালোবাসাকে আবার জয় করতে? এমনকি তার কাছে অতীতের সেই পীচ-ব্লসম হেয়ার পিনটাও আছে! তবে কি মাগধীরা মুভির মত নায়ক নায়িকার আবার পুনঃজন্ম হয়েছে!? দাঁড়ান, এখনই উত্তেজিত হবেন না, এখানে বিশাল একটা টুইস্ট আছে! ড্রামা দেখার সময় এই টুইস্ট আমিও ধরতে পারি নাই! আশা করি আপনারাও পারবেন না!!!
মোট তিনটা কাপল। কিন্তু সেকেন্ড লীড কাপলটা একটু বেশিই কিউট। ওদের খুনসুটি ক্যামিস্ট্রি সবই মন কাড়বে। সেকেন্ড লীড সিন্ড্রোমে ভুগবেন না, কিন্তু সেকেন্ড লীডের জন্য প্রচন্ড খারাপ লাগবে। পুরো ড্রামা জুড়ে সেকেন্ড লীডের সাথে নায়িকাকে কখনোই শিপ করাতে ইচ্ছা হবেনা, কিন্তু পুরো ড্রামা জুড়েই মনে হবে বেচারা আরো বেটার কিছু ডিজার্ভ করে।
ড্রামার প্রথম অংশটা রকিং, মাঝে কিছুটা স্লো। আমার মনে হয়েছে মাঝখানের ২/৩টা এপিসোড হুদাই বাড়ানো হয়েছে। এতটাও ড্রামার দরকার ছিলো না। শেষটা আবার শকিং। বেশির ভাগ চাইনিজ ড্রামার ক্ষেত্রে এন্ডিংটা ভালো হয়না, গাঁজাখুরি একটা এন্ডিং দেয়া হয়। কিন্তু এই ড্রামার এন্ডিংটা আমার কাছে ওয়ান অব দ্য মোস্ট পারফেক্ট এন্ডিং মনে হয়েছে।
নরমালি হিস্টোরিক্যাল জনরাটা আমার কাছে খুব একটা পছন্দ না। কিন্তু এই ড্রামাটা আমার কাছে এক টিকেটে দুই সিনেমা দেখার মত মনে হয়েছে! হিস্টোরিক্যাল অংশও আছে আবার মডার্ন অংশও আছে। ড্রামায় দুইটা কাহিনী প্যারালালি চলে- একটা নায়িকার স্বপ্নে অন্যটা বাস্তবে! সব মিলিয়ে ড্রামাটা আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। এই ড্রামা নিয়ে এখনো কোনো রিভিউ আমার চোখে পড়ে নি। অথচ ড্রামাটা দেখার পর মনে হয়েছে এই ড্রামা আরো কিছুটা হাইপ ডিজার্ভ করে।
এই ড্রামার সবচেয়ে বড় নেগেটিভ পয়েন্ট হচ্ছে- সাবটাইটেলের অবস্থা খুব একটা সুবিধার না। ম্যাংগো টিভির ড্রামা, অফিসিয়াল কোন সাব নেই। ফ্যানমেড সাব আছে, সেটার অবস্থা খুব একটা ভালো না, অনেক জায়গায় সাব নেই, ডায়লগ মিস করে গেছে। তারপরেও ড্রামা দেখতে বা বুঝতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। আশা করছি আপনাদেরও হবেনা!
Was this review helpful to you?
It could be great but the 'Ending' makes it an average drama!!!
Do Do Sol Sol La La Solইউনিক একটা নাম। নামের মত ড্রামাটাও ইউনিক।
ড্রামার নামটা যখন প্রথম শুনেছিলাম তখন থেকেই এটার প্রতি আগ্রহ ছিল, এটার এমন অদ্ভুত নামের জন্য। সিনোস্পিসটাও ভাল লেগেছিলো। তাই আশাও ছিলো ভালো কিছুই হবে। শেষের ৫ মিনিটের কথা বাদ দিলে বলা যায় আশাটা মোটামুটি পূর্ণ হয়েছে। এই ৫ মিনিটের কথা পরে বলি।
বড়লোক বাপের বোকাসোকা মেয়ে রা-রা। ড্যাডি'স প্রিন্সেস যাকে বলে, তার একদম পারফেক্ট উদাহরণ হচ্ছে রা-রা, বাস্তব দুনিয়া কিভাবে চলে তার সম্পর্কে কোন ধারণাই যার নেই। বিয়ের দিন তার বাবা হার্ট এটাকে মারা যায়, তাদের কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষিত হয়, যার সাথে বিয়ে হবার কথা ছিলো, সে সব দেখে ভেগে যায়। রাজকন্য মূহুর্তেই পথের ভিখারী!! আবার সব নতুন করে শুরু করতে হবে। নতুন একটা জায়গায় নতুন একটা জীবন।
জায়গায় জায়গায় হোঁচট খেয়ে চলতে চলতে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটা কেয়ারিং কমেন্ট দেখে তার সাথে দেখা করতে সিউল ছেড়ে একটা মফস্বল শহরে পাড়ি জমায় রা-রা। আসলে কমেন্টের চেয়ে কমেন্টকারীর নাম তাকে আকৃষ্ট করে বেশি। ‘dodosolsollalasol’ ছিল রা-রা আর তার বাবার মাঝে একটা সিক্রেট কোড। তাই সে হয়ত ভেবেছিলো এই কমেন্টকারী তাদের পরিচিত কেউই হয়ত হবে।
কথায় আছে না? অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়! রা-রার ক্ষেত্রেও তাই হলো। নতুন শহরে ঢোকার আগেই এক্সিডেন্ট করে বসল। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। এদিকে যে Dodosolsollalasol-এর সাথে দেখা করতে এসেছিলো সে, সে এক মাসের জন্য বিজনেস ট্রিপে শহরের বাইরে চলে গেছে। সম্পূর্ণ নতুন একটা শহরে কোনো আপনজন ছাড়া সম্পূর্ণ কর্পদহীন অবস্থায় আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তির মাধ্যমে তার নতুন জীবন শুরু হলো!
রা-রার এই নতুন জীবনে আশীর্বাদ হয়ে তার সর্বক্ষণিক সঙ্গী হলো, এক্সিডেন্টে যাকে সে আহত করেছিলো, সেই ‘জুন’। রা-রার সমবয়সী জুন। কঠোর পরিশ্রমী, একরোখা-চুপচাপ-ঘাড়ত্যাড়া, উপরে লোহার মত কঠিন কিন্তু ভেতরে মোমের মত নরম এই ছেলেটি তার প্রতিটি বিপদে তার সাথে ছিলো। তাকে বাঁচিয়েছে সব জায়গায়, সাহায্য করেছে নতুন একটা জীবন শুরু করতে। দুজন মিলে চালু করেছে La La Land নামের পিয়ানো একাডেমি। কার্যত যা হবার তা-ই হলো, প্রেমে পড়লো দুজন।
কিন্তু এই জুন কি আসলেই তা, যেভাবে সে নিজেকে পরিচয় দেয়? কেন তার চারপাশে এত গোপনীয়তা? আর রহস্যময় সে DoDo…Sol ই বা কে, যে রা-রার মোটামুটি সব জানে? এসব নিয়েই ড্রামার কাহিনী এগিয়েছে।
এই ড্রামায় আমার সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে সেটা হলো, এই ড্রামায় কোন নেগেটিভ চরিত্র নেই। প্রথমে যাদের একটু খারাপ মনে হতে পারে, একটা পর্যায়ে দেখা যাবে তারা সবাই আসলে ভালো, পরিস্থিতিটা ভিন্ন ছিল তখন। Eunpo শহরটা মন কেড়েছে খুব, বিশেষ করে শহরের বাসিন্দারা। এত কেয়ারিং সবাই!!! এমন একটা নেইবারহুডে কে না থাকতে চায়!! সবার অভিনয় ভালো ছিলো। তবে সবচেয়ে ভালো ছিলো রা-রার কুকুর মিমির অভিনয়!!! কুকুরের সিনগুলো ইউটিউবে টেনে টেনে বেশ কয়েকবার দেখেছি আমি!
ড্রামায় খারাপ লাগা বলতে এই একটাই- শেষের ৫ মিনিট!! আসলেই কি ঘটেছিলো এটার ব্যাখ্যা কি কেউ আমাকে দেবেন প্লিজ? মানে যা মন চায়, কিছু একটা দেখায়ে দিলেই হলো? যেটা দেখাচ্ছেন সেটার পেছনে একটা ব্যাখ্যা তো দিবেন নাকি!? হ্যাপি এন্ডিং দেয়াই লাগবে? সেটা জোর করে হলেও? আমার লাইফে আমি আরেকটা ড্রামা দেখেছিলাম, নাম IRIS। সেটার এন্ডিং দেখেও এমন প্রশ্ন জেগেছিলো- কেন কেন কেন? কেন এমন হলো!!! একই প্রশ্ন উদয় হলো এই ড্রামার শেষেও! যদিও দুটোয় দেখেনো হয়েছে ভিন্ন দুইটি পরিস্থিতি! IRIS-এর এন্ডিং IRIS-কে করেছে আনফগেটেবল, DoDo…Sol এর এন্ডিং সুন্দর একটা ড্রামাকে নামিয়ে এনেছে এভারেজের কাতারে! কোনো মানে হয় এসবের?
Was this review helpful to you?
"Why do we fall? So we can learn to pick ourselves up." - Oh Mi Joo
আমি সচরাচর যে ধরনের ড্রামা দেখি বা পছন্দ করি, Run On মোটেও সে ধরনের ড্রামা নয়। নরমালি এই ড্রামা আমার দেখার কথা না। যদি ভুল ক্রমে শুরুও করে ফেলি, তবে কয়েক এপি পরেই ড্রপ দেয়ার কথা, কিন্তু Run On আমি ড্রপ দেই নি। দেখতে বসে বিরক্তও হই নি। টানা দেখে গেছি। এবং শেষ হবার পরেও মনে হয়নি শেষ হয়েছে। মনে হচ্ছে সামনে আরো এপি আসবে। আসলে ভালো হবে, দেখতে তো মন্দ লাগছিলো না। কিন্তু তাই বলে এন্ডিংটা অসমাপ্ত এমনটা ভাবার দরকার নেই। এন্ডিং অসমাপ্ত না, কিন্তু অতৃপ্তি থেকে যায় এমন।Run On এর কাহিনী আসলে অল্প কথায় বলা সম্ভব না। এটা কেমন ড্রামা, জনরা কি, এসবও নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। কারণ, আমার কাছে যা মনে হয়েছে, বেসিক্যালি Run On এ কোন নির্দিষ্ট কাহিনী নেই। Run On টা আমার কাছে ৪ জন মেই লিড আর তাদের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা কিছু মানুষের প্রাত্যাহিক দিনের গল্প বলে মনে হয়েছে। মানে কোন নির্দিষ্ট কাহিনী না, শুধু একটা নির্দিষ্ট সময়ে অল্প কিছু মানুষের গল্প।
এখানে আহামরি কোন গল্প নেই, আবার আছেও। এখানে তেমন একটা রোমান্স নেই, আবার আছেও। এখানে স্ট্রং ফ্যামিলি বন্ডিং নেই, আবার আছেও। একতরফা ভালোবাসা, ভাইয়ের বোনের ঝগড়া-খুনসুটি-ভালোবাসা, কর্পোরেট কাদা ছুড়োছুড়ি, বিরহ-বিচ্ছেদ... অল্প অল্প করে সবই আছে। এত অল্প যে দেখার সময় চোখেও লাগবে না, কিন্তু শেষ হয়ে যাবার পর ঠিকই অনুভব করা যাবে।
Run On খুব বেশি ভালো ড্রামা না। আবার একেবারে ফেলে দেয়ার মতও না। এটা সবার ভালো লাগবে না এই বিষয়টা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। এই জনরাটা সবাইকে টানবে না। ডেসক্রিপশনে এটাকে Romance, Life, Sports জনরা বলা হলেও আমি এটাকে বলবো 'যাপিত জীবন' যেটা আপনি চান নি, কিন্তু এডিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই কোনো। Run On টা আসলে এমনই। এটা অন্য কোন ড্রামার মত না, এটা শুধু এটার মতই!!!
রেফারেন্স মুভি গুলো ভাল লেগেছে। এটা ইউনিক একটা ব্যাপার ছিলো। শেষ এপিতে স্টার্ট আপের গুডবয় Kim Seon Ho এর ক্যামিও ছিলো। ভেবেছিলাম এখানে হয়ত অন্য কোন কাহিনী দেখাবে। কিন্তু বললাম না, Run On একদম ব্যতিক্রম!!? কোন কাহিনী নেই, সিম্পল একটা ক্যামিও শুধু!!
সবশেষে, Run On আমি কাউকে সাজেস্ট করবো না। আমি শুধু আমার ব্যাপারটা বলতে পারি। Run On এর সাথে আমার খুব কমর্ফোটিং ১৬ ঘন্টা কেটেছে। টুইস্ট বিহীন, সাসপেন্স বিহীন, কোনো ধরনের এক্সাইটমেন্ট বিহীন, স্ট্যাটিক, স্ট্যাবল, কমর্ফোটিং ১৬ ঘন্টা।
Was this review helpful to you?
I feel like- I've to eat it, like right now!!!
রান্না করা একটা শিল্প। তবে কেউ কেউ এটাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যান। আর সাধক হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো দুনিয়াবি সকল মায়া ত্যাগ করা।এই গল্প দুই শেফের। যাদের একজনের মুখের স্বাদ হারিয়ে গেছে, অর্থাৎ সে নিজে কোন কিছুর স্বাদ পায় না। তবুও সে নিখুঁত রেসিপি ফলো করে সেরাদের সেরা রাধুঁনী। আর অন্যজন ছোটবেলা থেকে বুকে বয়ে বেড়াচ্ছে দগদগে এক ক্ষত। এই ক্ষত নিয়েই সে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে ব্যস্ত।
এই গল্প এক পিতা-পুত্রের। পিতার স্বপ্ন সে রন্ধন শিপ্লের সাধক হবে। সাধক হবার জন্য সে বাকিসব জলাঞ্জলি দেয়, নিজের একমাত্র পুত্রকেও ছেড়ে যেতে দ্বিতীয়বার ভাবে না সে। ২০ বছর পর, সারা বিশ্বে সে এক নামে পরিচিত- The God of Cookery। তার সাধনা সফল হয়। অন্যদিকে পুত্রের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে পিতাকে ভুল প্রমাণিত করা। প্রমাণ করা যে সন্ন্যাসী না হয়েও সাধক হওয়া যায়। ভালোবাসার মানুষদের ছেড়ে গিয়ে নয়, তাদের সাথে নিয়েও God of Cookery হওয়া সম্ভব।
এই গল্প বন্ধুত্বের এবং বিশ্বাস-ঘাতকতার। এই গল্প স্বার্থপরতার এবং স্বার্থহীনতার। এবং এই গল্প অবশ্যই অবশ্যই রান্নার!
একটা ব্যক্তিগত মতামত দেই! ২০১৫ সালের দিকে লেখক নাজিম উদ্দিন ভাইয়ের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেনি’ পড়ে পেটের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠেছিলো। এত সুন্দর করে রান্নার বর্ণনা দেয়া যে পড়ার সময় নাকে ঘ্রাণ পেতে শুরু করতাম, পেটে গুড়মুড় করত! এই মুভি দেখার সময়ও একই ফিল পেলাম! এত সুন্দর করে রান্নার সিনগুলো চিত্রায়ন করা! ইচ্ছে করবে স্ক্রিনের ভেতর ঢুকে একটু খেয়ে আসি!!!
Was this review helpful to you?
Cliché but Good enough!!
কাহিনী কিংবা গল্প যে খুব বেশি আহামরি লেভেলের তা না কিন্তু। রম-কম জনরায় তেমন কি-ই বা দেখানো হবে! সাদামাটা গল্প, সাদাসিধে অভিনয়- এই সাধারণ জিনিসগুলোই ড্রামাটাকে আমার কাছে মোটামুটি অসাধারণ বানিয়ে দিয়েছে, আমার আবার বেশি প্যাঁচগোচ কম পছন্দ কিনা!!একটা ভুল বুঝাবুঝি, সেটার সূত্র ধরে নায়ক-নায়িকার শত্রুতা শুরু। তারপর একটা ভ্যারাইটি শো-এর কারণে পরস্পরের কাছাকাছি আসা, পরস্পরকে জানা, প্রেমে পড়া! সিম্পল গল্প। কিন্তু এই সাধারণত্বের মাঝেও Lee Geun Young এর সাথে তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের গাঢ়ত্ব আপনার মন কাড়বে। Geun Young এর সাথে তার বাকি দুই বন্ধুর বন্ধুত্ব, খুনসুঁটি আপনাকে আপনার নিজের বন্ধুদের কথা মনে করিয়ে দেবে। কেবল একটা সুযোগের জন্য Oh In Hyung এর আকুতি/ডেস্পারেসি আপনার মনে দাগ কাড়বে। আর সব থাকার পরেও J J-র ইনফিওরিটি কমপ্লেক্সের সাথেও নিজেকে রিলেট করতে পারবেন একটা সময়ে গিয়ে। আমরা সবাই-ই তো কোনো না কোনো সময় নিজের সবচেয়ে পছন্দের মানুষ/স্বপ্ন/বস্তুর কাছাকাছি গিয়ে এই ইনফিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগি, তাই না? তাই প্রথম দিকে তার উপর ব্যাপক মেজাজ খারাপ হলেও শেষ দিকে গিয়ে সে খারাপ লাগাটা আর থাকবে না!
আর মেইন লিডদের খুনসুঁটির কথা কি বলব! এরাই ড্রামার প্রাণ। পুরো ড্রামা জুড়ে এরা দুজন আপনাকে হাসাবে, শেষের দুই এপিসোড ছাড়া, সেখানে কাঁদাবে! কিন্তু তাই বলে স্যাড এন্ডিং ভাবার আবার কোনো কারণ নেই! এখানে স্যাড এন্ডিং-এর কোনো সুযোগ নেই!!
ড্রামায় বাড়তি কাপল হিসাবে থাকছে ভ্যারাইটি শো-র ডিরেক্টর দুজন- PD Han আর Writer Noh। এদের কাছ থেকে আপনি শুরুতে কিছুই আশা করবেন না। কিন্তু ড্রামা শেষে দেখবেন এদের দুজনের কাজ কারবারেই সবচেয়ে বেশি মজা পেয়েছেন।
বন্ধুত্ব, পরিবার, রোমান্স, জীবনে উত্থান-পতন সব মিলিয়ে একটা কমপ্লিট প্যাকেজ ছিল So I Married An Anti Fan.
Was this review helpful to you?
It could be masterpiece, but ended up being a average drama.
এমনিতেই রোমান্টিক-ফ্যান্টাসি জনরাটা আমার অনেক পছন্দের। এই জনরার একটা ড্রামা দিয়েই আমার ড্রামা জগতে আগমন এবং এখন পর্যন্ত সেই ড্রামাটা আমার মোস্ট ফেভারিট ড্রামার ছোট্ট লিস্টে আছে (My Girlfriend Is A Gumiho/Nine-Tailed Fox)। তাই যখন ফক্স নিয়ে আরেকটা ড্রামা হচ্ছে শুনলাম এবং সেই ড্রামায় ফক্স চরিত্রে অভিনয় করেছে আমাদের সবার প্রিয় গ্রীম-রিপার, স্বভাবতই এক্সপেক্টেশানটা অনেক বেশি ছিল ড্রামাটা নিয়ে।ড্রামাটা ভালো, কিন্তু আমি হতাশ হয়েছি সম্ভবত খুব বেশি এক্সপেক্টেশান থাকার কারণে। গল্পটা কেমন জানি প্রাণহীন মনে হয়েছে আমার কাছে। আরো প্রাণহীন মনে হয়েছে সবার অভিনয়। এর মানে কিন্তু গল্প কিংবা অভিনয় খারাপ হয়েছে সেটা বলছি না, সবই ঠিক আছে। কিন্তু তার পরেও কোথায় জানি একটা শূন্যতা থেকে গেছে বলে মনে হয়েছে।
গল্পটা সাধারণই। এমন পাস্ট লাইফ-লাভ-রিভেঞ্জ জনরার ড্রামা আগেও হয়েছে। তারপরেও ড্রামাটা মাস্টারপিস হতে পারতো, হয়নি শুধুমাত্র দূর্বল এক্সিকিউশনের কারণে। দূর্বল এক্সিকিউশন কেন বললাম, আমার কাছে যে কয়টা মনে হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বলি-
৫. এক্সপ্রেশান। আমার কাছে বারবার এক্সপ্রেশানের রিপিটেশান হয়েছে বলে মনে হয়েছে। এক্সপ্রেশান ঠিকই ছিল, কিন্তু সব পরিস্থিতিতে সবার একই ধরনের এক্সপ্রেশান বারবার দেখানোটা বিরক্তিকর ঠেকেছে। যেমন- লি ডং-উকের ভ্রু নাচানি, কিম বামের ঠোঁটের কোণায় বাঁকা হাসি, নায়িকার লাইফলেস এক্সপ্রেশান। মানে সিচুয়েশান যেটাই হোক- স্যাডনেস, হ্যাপিনেস, রোমান্টিক, সারকাস্টিক- সব জায়গায় একই এক্সপ্রেশান দিলে কেমনে কি?
৪. ব্রোমান্স। দুই ভাইয়ের মাঝে যথেষ্ট ব্রোমান্স দেখানো যেতো। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের লাভ-হেইট্রেড রিলেশনের হেইট্রেড অংশটা দেখানো হয়েছে বেশি। দুই ভাইয়ের একজনের অন্যজনের প্রতি যে টান, তার সঠিক এক্সিকিউশন হয়নি বলেই মনে হয়েছে।
৩. সেকেন্ড কাপল। সেকেন্ড লিড কাপলের প্রতি আরেকটু নজর দেয়ার দরকার ছিলো। আমার মনে হয়েছে শুধুমাত্র ক্যারেক্টার দরকার, সেজন্যই তাদের আনা হয়েছে, কিন্তু যত্ন দিয়ে লালন করা হয় নাই। আরেকটু যত্ন নিয়ে ক্যারেক্টারগুলো সাজালে ডটস লেভেলের একটা ফিলিং আসতো। কিন্তু এই ড্রামায় তাদের কোনো গুরত্বই দেয়া হয় নাই।
২. মোটিভ। ইমুগির উদ্দেশ্যটা কি? সে আসলে চায়টা কি? মাউন্টেন স্পিরিটের প্রতি তার এত ক্ষোভ কেন? নায়িকার প্রতি তার এত অবসেশন কেন? মানে, সে তার লজিক দেখিয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু আমার কাছে সেটাকে এতটা স্ট্রং মনে হয়নি। ওরা তো সরাসরি তার কোনো ক্ষতি করেনি। তার ব্যাডলাকের জন্য ওরা সরাসরি দায়ীও না। মুন্টেন স্পিরিট তো আরো ছিল, আর হিউম্যান সেক্রিফাইসেরও অভাব ছিলো না তার। তাহলে শুধু মাত্র ওদের প্রতিই তার এমন অবসেশন কেন? সে বারবার বলেছে, মেয়েটাকে প্রথমেই তার উদ্দেশ্যে সেক্রিফাইস করা হয়েছে, সে-ই তার প্রপ্য হকদার। কিন্তু এই সেক্রিফাইসটা কে করেছে তার উত্তর কোথাও দেয়া হয়নি!
১. একশান। ড্রামার একশন সিন গুলো হাস্যকর লেভেলের মনে হয়েছে। মানে, দুই-দুইটা এত পাওয়ারফুল স্বত্তা। এতই পাওয়ারফুল যে দুনিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। দুজনের যুদ্ধের সিনগুলো আরো ড্রামাটিক হবার দরকার ছিলো। অথচ সে তুলনায় কিছুই দেখানো হয়নি। কেনো? বাজেট স্বল্পতা? যেটা দেখানো হয়েছে সেটাকে বড়জোর দুইটা ফ্যামিলি ধ্বংসের যুদ্ধ বলা যেতে পারে, পুরো দুনিয়া না!
ড্রামায় যে ভালো লাগার মতো কিছু ছিলো না, সেটা না। কিছু কিছু জিনিস আমার বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পিচ্চিটার অভিনয়! এত্ত গুলুমুলু একটা পিচ্চি! ইদানীং বাচ্চা-কাচ্চা কি বেশি ভালো লাগে! বয়স হয়ে যাচ্ছে, বুঝা যাচ্ছে!!
কিম বাম আর জো বো-আর সাপে-নেউলে সম্পর্কটা! প্রথম থেকেই দুজনের কেমিস্ট্রিটা আমার কাছে বেশ মজা লেগেছে। শেষ দিকে তো মনে হয়েছে ওরা ইটস ওকে টু নট বি ওকে-র কো মুন-ইয়ং আর মুন সাং-তে!
কিছু কিছু ড্রামা আছে যেগুলো বারবার দেখলেও তৃপ্তি মেটে না। আবার কিছু ড্রামা একবার শেষ করতেও কষ্ট হয়ে যায়। আমি বলব The Tale of a Nine Tailed মাস্টারপিস হবার সব ধরণের উপকরণ থাকা স্বত্তেও ওয়ান টাইম ওয়াচেবল হিসাবে থেকে গেছে।
Was this review helpful to you?
Not bad for one time watch.
When I first heard of this drama I thought, I was actually sure that I wouldn't like this drama. Because I didn't find Ji Chang Wook very appealing in romantic character. I had found the best version of Ji Chang Wook in Healer. The K2 was also good. Ji Chang Wook is meant for action role. But he always chooses the wrong character. Suspicious Partner, Melting Me Softly all was his bad choice. I never liked any of this drama. Backstreet Rookie was also the same.So I was on fire when I heard he took another romantic character. I was determined I wouldn't watch this drama. I don't know why, but I started watching this drama. And surprisingly I liked this drama!!!
The story was simple. But story-tailing was awesome. I liked the way director told the story. And this is the only thing I liked about this drama.
Was this review helpful to you?